মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে। ২০২৫ সালের ১৫ মে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নিয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া এবং উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমবাজার পুনরায় চালুর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন ।
এছাড়া, মালয়েশিয়া সরকার শুধুমাত্র ১০০টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ায়, বাকি ২,৫০০টিরও বেশি নিবন্ধিত এজেন্সি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার সকল বৈধ এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করা হোক ।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সিন্ডিকেটমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে অতিরিক্ত খরচ ও দুর্নীতির ঝুঁকি কমে এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় ।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে, যা শ্রমিকদের অধিক খরচ ও প্রতারণার শিকার করেছে ।
বর্তমানে, দুই দেশের সরকার শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, এবং সিন্ডিকেটমুক্ত, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।