প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আমার ইচ্ছা আছে খুব, স্বপ্নের একটি প্রজেক্ট আছে প্রবাসীদের জন্য হসপিটাল করা। এর মালিক হবেন প্রবাসীরাই। স্বপ্ন আছে এটা। এটা যদি করতে পারি, আমার খুব শান্তি লাগবে। আমাদের যে রেমিট্যান্স–যোদ্ধা ভাই–বোনেরা আছেন, ওনাদের প্রতি আমাদের অসীম ঋণ। ওনাদের জন্য আমাদের বহু কিছু করণীয় আছে।’
আজ শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল, নাগরপুর ও কালিহাতী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল।
দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার পর তিন থেকে ছয় মাস সময় শিক্ষার্থীদের কিছু করার থাকে না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এ সময়টা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য একটা স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম করব। তারা এই প্রোগ্রামে পার্টিসিপেট করবে। তাদের আমরা কম্পিউটার, গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনের ওপর ট্রেনিং দেব। এ বছর ছয় হাজার স্টুডেন্টকে আমরা ইনভলভ করতে পেরেছি।’
বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য অনেক চেষ্টা চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘সার্বিয়া, রোমানিয়াসহ ইস্ট ইউরোপে আমাদের মার্কেট ওপেন হচ্ছে। আমাদের ড. ইউনূস স্যার জাপান থেকে আশ্বাস পেয়েছেন এক লাখ শ্রমিক নেওয়া হবে। মালয়েশিয়ায় আমি গিয়েছিলাম, তারা বলেছে সবচেয়ে বেশি কর্মী বাংলাদেশ থেকে নেবে। তা ছাড়া সৌদি, জর্ডানে আমাদের যারা ইরেগুলার ওয়ার্কার ছিল, তাদের রেগুলার করার ব্যবস্থা করবে, এ আশ্বাস আমাকে দিয়েছে এবং অলরেডি করা শুরু করেছে। আমরা বাহরাইন আর ইউএইতে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ওপেন করার চেষ্টা করছি।’
টাঙ্গাইল টিটিসি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনশক্তি প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, টাঙ্গাইল টিটিসির অধ্যক্ষ মো. রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আসিফ নজরুল জানান, টাঙ্গাইলে যে প্রজেক্ট শুরু হয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। কর্মসূচি সফল করতে পারলে ছয় হাজার শিক্ষার্থীর প্রাথমিক দক্ষতার উন্নয়ন ঘটবে। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এখন সেমি স্কিল বা আনস্কিল ওয়ার্কার নিতে চায় না। ক্রমেই আমাদের স্কিল ওয়ার্কার বাড়াতে হবে। স্কিল ওয়ার্কার ছাড়া শ্রমবাজারের ভবিষ্যৎ বেশি ভালো হবে না। স্কিল ওয়ার্কার ডেভেলপমেন্টের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে আমরা এটা করলাম।’