পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাজারে আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার তিন ধরনের নতুন নোট। তবে এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না; এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক দৃশ্য বা স্থাপনার ছবি থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ঋণ সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের টাকা ছাপানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ঈদের আগেই ২০, ৫০ এবং ১০০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসবে। নতুন নোটে আর কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না। তার পরিবর্তে থাকছে আমাদের প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী ভবন, প্রাণী প্রভৃতি।
ধর্মীয় স্থাপনা যেমন মসজিদ, মন্দির বা প্যাগোডা থাকবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা কোনো পার্থক্য করছি না। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলে তা যাই হোক না কেন, ব্যবহার করা হবে।
জানা গেছে, এতদিন বাংলাদেশের নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকত। তবে গত জুলাইয়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের ১০ মার্চ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে নতুন নোট বিনিময় বন্ধ রাখতে বলে।
টাঁকশাল সূত্রে জানা যায়, নতুন ডিজাইনের নোট ছাপাতে সাধারণত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং ডিসেম্বরেই নতুন নোটের সিদ্ধান্ত আসে। প্রথম ধাপে কেবল ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে, কারণ একসঙ্গে তিনটির বেশি নোট ছাপার সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। নতুন নোটে থাকবে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতীকী চিত্র ও আগের কিছু ঐতিহাসিক নকশার ফিরে আসা।