মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বরিশাল এক্সপ্রেস নামে যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর ছাদ উড়ে গেলেও বাস না থামিয়ে ছাদবিহীন গাড়িটি পাঁচ কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী দুর্ঘটনার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে ও বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে ৬ যাত্রী নিয়ে সাড়ে ৮টায় বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয় বাসটি। ঘণ্টা খানেক পর ঢাকা-মাওয়া সড়কে উঠলে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে অপর আরেক কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসের ছাদ উড়ে যায়। তারপরও চালক গাড়ি না থামিয়ে ৫ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাস থামাতে বাধ্য হন চালক। এ সময় গাড়ি থামিয়ে চালক পালিয়ে যান।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বরিশাল এক্সপ্রেস শ্রীনগরের সমষপুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। যাত্রীদের চিৎকারেও বাস থামাননি চালক। ছাদবিহীন বাস চালিয়ে পদ্মা সেতুতে না ওঠে পাশের সড়কে ঢুকে যায় বাস। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকার ছিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার সামনে বাসটির পথরোধ করে থামায় এবং যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত একজনকে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে অন্য গাড়িতে গন্তব্যে পাঠানো হয়। গাড়ি চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।