ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত রাস ইসা তেলবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ৩০ জনের বেশি নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এই হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)। খবর দ্য নিউ আরবের।
হুতিদের মালিকানাধীন আল-মাসিরাহ স্যাটেলাইট চ্যানেল হামলার পরের গ্রাফিক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, নিহতদের মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। হুতি সূত্র জানিয়েছে, বন্দরের প্যারামেডিক ও সাধারণ কর্মীরা হামলায় নিহত হয়েছেন। এতে একটি বড় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়, হুতি বিদ্রোহীদের অবৈধভাবে তেল বিক্রি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর সক্ষমতা নষ্ট করতেই এ হামলা করা হয়েছে। তবে বিবৃতিতে হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
রাস ইসা বন্দরটি রেড সি উপকূলে হোদেইদা গভর্নরেটে অবস্থিত। এখানে তিনটি তেলের ট্যাংক ও পরিশোধনাগার রয়েছে।
হুতিরা এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এই আগ্রাসন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ইয়েমেনের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। এই বেসামরিক স্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে ইয়েমেনিদের সেবা দিয়ে আসছিল।
৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র একটি সতর্কবার্তা জারি করে জানায়, হুতি নিয়ন্ত্রিত বন্দরে তেল সরবরাহ বা জাহাজ আনলোড করলে সংশ্লিষ্ট দেশ বা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুতিদের হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল হুতি নিয়ন্ত্রিত তেল পরিকাঠামোয় হামলা চালায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের চাপ তৈরির অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। তবে এই অভিযান কবে থামবে, সে বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।