গেল কয়েক দিনের বৈরী আবাহাওয়ার রেশ না কাটতেই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা। একটি নয়, দুইটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। যা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূল জুড়ে। ঘুম কেড়ে নিয়েছে উপকূল ও উপকূল তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকা এবং নিম্নাঞ্চলের মানুষের। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে মে মাসের শেষ দিকে অর্থাৎ ২৭ বা ২৮ তারিখে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। লঘুচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।
আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৭ থেকে ৩০ মে-র মধ্যে উড়িষ্যা-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উপকূলে আঘাত হানতে পারে। একই সময় আরব সাগরেও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৯ থেকে ৩১ মের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা।
এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ১৬ থেকে ২২ মে-র মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ২৩ থেকে ২৮ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা সম্ভাব্য দুটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ‘শক্তি’ ও ‘মন্থা’ নামে। পলাশের মতে, যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি আগে শেষ হয়, তাহলে বঙ্গোপসাগরের ঝড়টি তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী হতে পারে।
নতুন করে দুই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলজুড়ে। সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শ্যামনগরে মোট ১৪৫ দশমিক ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। যার মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টের তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু এলাকা।
এদিকে, গেল কয়েক দিনের বৈরী আবাহাওয়ার সঙ্গে সীমান্ত নদীতে পাহাড়ি ঢলে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। ২০ মে ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের কারণে সিলেটের সীমান্তবর্তী নদীগুলোতে ঢল নেমেছে। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ওপর নদনদীর পানি প্রবাহিত হয়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।